মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
নিউইয়র্ক
গত বছরের শীর্ষস্থান অধিকারী বেইজিংকে ছাড়িয়ে "দ্য বিগ অ্যাপল" 2022 সালের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে। গত 12 মাসে নিউইয়র্কে বসবাসকারী বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা 8 জন বেড়েছে। সর্বশেষ জরিপের উপর ভিত্তি করে জানা গেছে যে, 107 জন বিলিয়নিয়ার যাদের মোট যৌথ মূলধন $640 বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে তারা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরে বসবাস করছেন। তাদের বেশিরভাগই আর্থিক খাতে কাজ করে। তারপরও, মিডিয়া মুঘল মাইকেল ব্লুমবার্গ এখনও নিউইয়র্কের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দা। তিনি নিউ ইয়র্ক শহরের বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদের প্রায় 13% এর মালিক। মিঃ ব্লুমবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন $82 বিলিয়ন।
বেইজিং
গত বছর, 2015 সালের পর প্রথমবারের মতো চীনের রাজধানী বেইজিং নিউইয়র্ককে ছাড়িয়ে এক নম্বর শহর হয়েছিল যেখানে অতি-ধনীরা বসবাস করে থাকে। তবে, গত 12 মাসে সরকারী যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত বিপর্যয়ের কারণে, বেইজিংয়ের ধনীদের সম্পদ $174 বিলিয়ন কমেছে। ফলে ১৭ জন ব্যক্তি বিলিয়নিয়ারদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। চীনের রাজধানীতে এখন 83 জনের মতো বিলিয়নিয়ার বসবাস করছে। যৌথভাবে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ $310 বিলিয়ন। টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিং বেইজিংয়ের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দা। মাত্র এক বছরে, তার সম্পদ $14.4 বিলিয়ন বেড়েছে।
হংকং
হংকং হচ্ছে আরেকটি শহর যেখানে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদের ব্যাপক পতন হয়েছে। কোভিড -19 সংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধ শহরটির ব্যবসার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং এই শহরে বসবাসরত 12 জন ব্যক্তিবিলিয়নিয়ারদের তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে, গত 12 মাসে হংকংয়ের 68 জন বিলিয়নিয়ারদের যৌথ সম্পদের পরিমাণ $143 বিলিয়ন কমেছে। তাদের যৌথ সম্পদের পরিমাণ এখন $304.6 বিলিয়ন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হেন্ডারসন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মালিক লি শাওকি $32 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মোট সম্পদ নিয়ে শহরের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দায় পরিণত হয়েছেন।
লন্ডন
গত বছর লন্ডনে বসবাসরত বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা তিনজন বেড়েছে। শহরটি এখন 66 বিলিয়নিয়ারদের আবাসস্থল। তাদের সম্মিলিত মোট সম্পদের পরিমাণ এখন $324 বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে $32.5 বিলিয়নের মালিক লিওনার্ড ব্লাভাটনিক যিনি যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে ধনী বাসিন্দা, অর্থ যোগানদাতা, অ্যাক্সেস ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় জনহিতৈষী।
সাংহাই
গত 12 মাসে, চীনের অন্যান্য শহরের তুলনায় সাংহাইয়ে সবচেয়ে কম সংখ্যক ব্যক্তি বিলিয়নিয়ার তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছেন। শহরটিতে বসবাসরত ধনী ব্যক্তির সংখ্যা 64 থেকে 61-তে নেমে এসেছে সাংহাইয়ের বিলিয়নিয়ারদের সম্মিলিতভাবে মোট সম্পদের পরিমাণ এখন $187 বিলিয়ন, যা আগের বছরের থেকে $72 বিলিয়ন কম। এই প্রবণতাকে সমর্থন যুগিয়ে, সাংহাইয়ের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং কৃষি ও রাসায়নিক সংস্থা ইস্ট হোপ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিউ ইয়ংজিং তার সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ করে আনুমানিক 13.2 বিলিয়ন ডলারে পরিণত করেছেন।
শেনজেন
"চীনের সিলিকন ভ্যালি" হিসেবে খ্যাত শেনজেনে গত বছর 9 জন ব্যক্তি বিলিয়নিয়ারদের তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছেন। বর্তমানে, শেনজেনে 59 জন বিলিয়নিয়ার বসবাস করছেন। যৌথভাবে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ $286 বিলিয়ন, যা আগের বছরের তুলনায় দুইগুণ কম। শেনজেনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, ইন্টারনেট মিডিয়া টাইকুন মা হুয়াটেং-এর উপর দিয়েও ঝড় বয়ে গিয়েছে। টেনসেন্টের চেয়ারম্যান এবং সিইও-এর মোট সম্পদের পরিমাণ $28 বিলিয়ন কমে $37.2 বিলিয়ন হয়েছে।
মস্কো
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কারণে তালিকায় থাকা অন্য যেকোনো শহরের তুলনায় মস্কো সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ারদের হারিয়েছে। মস্কোর দুই বিলিয়নিয়ার বাসিন্দা ছাড়া বাকি সবাই গত এক বছরে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এই শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং ইস্পাত পণ্য প্রস্তুতকারক এনএলএমকে গ্রুপের চেয়ারম্যান ভ্লাদিমির লিসিনের মোট ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ প্রায় $8 বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। ইতমধ্যে, শহরটিতে বসবাসরত আরও 26 জন ব্যক্তি বিলিয়নিয়ারদের তালিকা থেকে সম্পূর্ণভাবে বাদ পড়েছেন। বর্তমানে, মস্কোতে বসবাসকারী 58 জন বিলিয়নিয়ারদের যৌথভাবে মোট সম্পদের পরিমাণ $215 বিলিয়ন। তাদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমণ 2021 সালের তুলনায় $205.7 বিলিয়ন কমেছে।
মুম্বাই
এই ঘনবসতিপূর্ণ ভারতীয় মহানগর ফোর্বসের তালিকার অষ্টম স্থান দখল করেছে। বর্তমানে এই শহরে বসবাসরত বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা এক বছর আগের ৪৮ থেকে বেড়ে ৫১ হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মুম্বাইয়ের বিলিয়নিয়ারদের সম্মিলিত সম্পদ এখন $301 বিলিয়নে পৌঁছেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মোট সম্পদের 30% এরও বেশি শহরটির সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির দখলে রয়েছে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ এখন $90.7 বিলিয়ন।
সানফ্রান্সিসকো
ফোর্বসের এই তালিকায় সান ফ্রান্সিসকো 9 নম্বরে নেমে এসেছে। এক বছরে শহরটির 4 জন বাসিন্দা বিলিয়নিয়ারদের তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছেন। বর্তমানে, শহরটির 44 জন বিলিয়নিয়ারের যৌথভাবে মোট সম্পদের পরিমাণ $160.8 বিলিয়ন বলে অনুমান করা হযচ্ছে, যা আগের বছরের থেকে প্রায় $30 বিলিয়ন কম। সান ফ্রান্সিসকোর সবচেয়ে ধনী বাসিন্দারা হলেন এয়ারবিএনবি-এর সিইও ব্রায়ান চেস্কি এবং আসানার সিইও ডাস্টিন মস্কোভিটজ। তাদের উভয়ের অ্যাকাউন্টে $11.5 বিলিয়ন ডলার রয়েছে।
সিউল
2 বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী তালিকায় ফিরে এসেছে। গত বছর, সিউলের চার জন ব্যক্তি বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় স্থান পেয়েছে। $108.3 বিলিয়ন ডলারের মোট সম্পদ সহ এই শহরটি এখন 38 জন বিলিয়নিয়ারের আবাসস্থল। সিউলের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দারা হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় মেসেজিং অ্যাপ কাকোর প্রতিষ্ঠাতা কিম বিওম-সু এবং স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের ভাইস-চেয়ারম্যান জে ওয়াই লি। তাদের প্রত্যেকের মোট সম্পদের পরিমাণ $9 বিলিয়ন।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক