মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান মহানগরীটি নিচুভূমিতে অবস্থিত এবং ১৩ টি নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত, যে কারণে বর্ষাকালে তাদের তীর উপচে নদীর পানি ঢুকে পড়ে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বৃষ্টিপাত দীর্ঘ এবং আরও প্রবল হয়ে উঠেছে। যে কারণে বন্যা ইতিমধ্যেই নিয়মিত ঘটনা হয়ে পড়েছে। বর্তমানে, জাকার্তা বিশ্বের দ্রুততম ডুবন্ত শহর। মূলত এই শহরের ৪০% এরও বেশি অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচে। সাথে সাথে প্রতি বছর এর স্থলভাগ দ্রুত ডুবে যাচ্ছে। কিছু বিজ্ঞানী ধারণা করছেন যে ২০৫০ সালের মধ্যে জাকার্তার উত্তরাঞ্চলের ৯৫% অংশ পানির নিচে ডুবে যাবে। এ কারণেই বর্তমানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রাজধানীকে একটি নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের রাজধানীতে বিশ্বের জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। সেখানে ২১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বসবাস করে। জনসংখ্যা প্রতি বছর ৪০০,০০০ জন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা বায়ু দূষণ এবং ভূমি হ্রাসের মতো পরিবেশগত সমস্যার দিকে ধাবিত করছে যা মাটির থেকে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে ঘটছে। প্রতি বছর, ঢাকা ১.৪ সেন্টিমিটার করে নিচের দিকে ধাবিত হচ্ছে যেখানে স্থানীয় উপসাগরে পানির স্তর বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। মূলত এসবের ফলেই সেখানে বন্যা দেখা দেয়। মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। শহরটি প্রায়শই তীব্র খরাতে ভোগে যা বেশ কৌতুহলজনক।
ম্যানিলা, ফিলিপাইন
ফিলিপাইনের রাজধানী বিশ্বের সবচেয়ে ভুক্তভোগী শহরগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। এই শহরের নাগরিকরা অনেক বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখেছেন। গ্রীষ্মমন্ডলীয় বৃষ্টিপাত এবং সুনামির কারণে মারাত্মক বন্যা দেখা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, চলতি গ্রীষ্মের বন্যার কথা উল্লেখ করা যায়। প্রবল বন্যার কারণে ১৪,০০০ এরও বেশি মানুষকে জরুরিভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ঘন ঘন টাইফুন, ভূমিধস এবং ভূমিকম্পও শহরটিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। গত বছর, দেশটি পাঁচটি বৃহত্তম প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস আশাব্যঞ্জক নয়। তারা মনে করে যে এই অঞ্চলে দুর্যোগ আরও ঘন ঘন এবং আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
লাগোস, ণাইজেরিয়া
নাইজেরিয়ার সবচেয়ে বড় শহরের জন্য বিধ্বংসী বন্যা একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কয়েক ডজন মানুষের জীবন নেয় এবং সাধারণ মানুষের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। একটি দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং দেশের প্রধান বন্দরের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষ বার্ষিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি বরাদ্দ করে। তবুও, তারা খুব কমক্ষেত্রে আসন্ন জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে। বাস্তবতা হল যে শতাব্দীর শেষের দিকে, শহরের কাছাকাছি অবস্থিত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৯০ সেন্টিমিটার বেড়ে হতে পারে, যদি পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায়।
লস এঞ্জেলেস, ইউএসএ
চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান শহর লস এঞ্জেলেসও পানির নিচে চলে যাওয়ার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। সমুদ্রের স্তর ২ মিটার বেড়ে গেলে পরবর্তী শতাব্দীর শুরুতে জনপ্রিয় ক্যালিফোর্নিয়া সৈকতের ৬০% এরও বেশি এবং প্রায় ২০,০০০ উপকূলীয় বাড়িঘর অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। তবে এটি শহরের জন্য মূল হুমকি নয়। এখন বিজ্ঞানীরা এই অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে ব্যস্ত। বনাঞ্চলে দাবানল সেখানে একটি নিয়মিত ঘটনা। সাথে সাথে ২১০০ সালের শুরুতে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি নতুন ঋতু আসতে পারে যার নাম 'সুপার সামার', যা অত্যধিক শুষ্ক ও উষ্ণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক