মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
স্পেসএক্স
বিশেষজ্ঞদের মতে, এলন মাস্কের উদ্ভাবিত কোম্পানি স্পেসএক্স মহাকাশ বাণিজ্য থেকে আয় এবং লাভের দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে। কোম্পানিটি রকেট, রকেট ইঞ্জিন, সেইসাথে মহাকাশ স্যাটেলাইট- এর নকশা তৈরি এবং তা প্রস্তুত করে থাকে। মহাকাশ স্টেশনে কার্গো সরবরাহ এবং মনুষ্যবাহী বিমান উৎক্ষেপণের দায়িত্বেও স্পেসএক্স নিযুক্ত রয়েছে। ২০০৬ সালে কোম্পানির প্রথম রকেট ফ্যালকন -১ নিক্ষেপ করা হয়েছিল৷ তারপর থেকে গত ১০ বছর ধরে, স্পেসএক্স ‘নাসা’-এর বাণিজ্যিকভাবে কর্মী প্রেরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে, যা নভোচারীদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দেয়৷ ২০১৫ সালে, ‘ক্রু ড্রাগন’ মহাকাশযান সফলভাবে দুই নভোচারী, ডগলাস হার্লি এবং রবার্ট বেহেনকেন কে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দেয়। ২০১৬ সালে, স্পেসএক্স জাতীয় নিরাপত্তা মহাকাশ স্যাটেলাইট তৈরি এবং উন্নয়নেরর জন্য মার্কিন বিমান বাহিনীর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২০১৮ সালে, কোম্পানিটি ‘ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট’ চালু করেছে, এটি একটি স্পেস টেলিস্কোপ যা আমাদের সৌরজগতের বাইরের কোনো গ্রহের অনুসন্ধানের জন্য নকশা করা হয়েছে। ঠিক এক বছর পরে, স্টারলিংক প্রকল্পের অংশ হিসাবে, স্পেসএক্স ৬০টি উপগ্রহের একটি দল পৃথিবীর কক্ষপথেপাঠাতে সফল হয়েছিল। প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল বিশ্বব্যাপী উচ্চ-গতির ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করা। তা ছাড়া, এলন মাস্ক ২০২৬ সালে মানুষকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো ও সেখানে অবতরণের পরিকল্পনা করেছেন।
ব্লু অরিজিন
ব্লু অরিজিনকে মহাকাশ শিল্পের দ্বিতীয় প্রধান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অ্যামাজনের প্রধান জেফ বেজোস। এর মূল লক্ষ্য হল পর্যটকদের মহাকাশের প্রান্তে পাঠানো। ২০০৬ সাল থেকে নিউ শেপার্ড, নিউ গ্লেন এবং ব্লু মুনের মতো মহাকাশযান তৈরি ও পরীক্ষা করছে ব্লু অরিজিন কোম্পানি। প্রতিষ্ঠান টি ২০১৭ সালে, টিভি সেবাপ্রদানকারী Eutelsat এবং ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী One Web- কোম্পানি দুটির জন্য দুইটি স্যাটেলাইট চালু করেছে। নাসা গত বছর স্পেসএক্স এবং ডাইনেটিক্সের সাথে ব্লু অরিজিন কেও দায়িত্ব দিয়েছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশচারীদের অবতরণযোগ্য নভোযান তৈরি করার জন্য। তবে ২০২১ সালে, স্পেসএক্স ২.৮৯ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিটি জিতেছিল, এবং প্রতিযোগিতায় থাকা অন্য দুটি সংস্থা নাসার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। ফলে নাসা প্রকল্পটি বাতিল করেছিল। গত ১৫ বছরে, ব্লু অরিজিন তার নিজস্ব ১৫টি রকেটের সফল উৎক্ষেপণ করেছে, যার সর্বশেষটি ছিল এই বছরের এপ্রিলে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে, ব্লু অরিজিন তার যাত্রীদের সাব-অরবিটাল স্পেসে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
ভার্জিন গ্যালাকটিক
বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ সংস্থাগুলির তালিকায় তৃতীয় স্থানটি দখল করেছে ব্রিটিশ উদ্যোক্তা রিচার্ড ব্র্যানসনের চিন্তাপ্রসূত ভার্জিন গ্যালাক্টিক কোম্পানি। এটি মূলত কক্ষপথে ভ্রমনকারী এবং সাবঅরবিটাল ফ্লাইটের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে, ভার্জিন গ্যালাকটিক তার তৈরিকৃত মহাকাশযান ‘স্পেসশিপ-২’ এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। এছাড়াও, সংস্থাটির রয়েছে স্পেসশিপ থ্রি নভোযান এবং ভার্জিন আটলান্টিক গ্লোবালফ্লায়ার নামে একটি একক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট জেটবিমান যা একবারও না থেমে পুরো পৃথিবী ঘুরে আসতে পারে। এগারো বছর আগে, ভার্জিন গ্যালাকটিক আমেরিকা নামে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্মিত মহাকাশবন্দর তৈরি করেছিল। এই বছর কোম্পানিটির সহযোগী সংস্থা, ভার্জিন অরবিট, NASA প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে একটি বিশেষ ‘বোয়িং ৭৪৭’ বিমান এবং ‘লঞ্চারওয়ান’ নামে একটি দুই-স্তর বিশিষ্ট অরবিটাল লঞ্চার ব্যবহার করে দশটি মাইক্রোস্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। ব্রানসন ২০২১ সালের শেষের দিকে প্রথম অরবিটাল ফ্লাইট চালু করতে চান। ২০২২সালে, তিনি যাত্রীবাহী ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন, যার প্রতিটি টিকিটের মুল্য $200,000 থেকে $250,000 এর মধ্যে হতে পারে।
অ্যাস্ট্রা স্পেস
মহাকাশ অনুসন্ধান থেকে লাভবান চতুর্থ কোম্পানি হল অ্যাস্ট্রা স্পেস। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি NASA এবং US ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (DARPA) এর জন্য মহাকাশ প্রযুক্তি তৈরি করে থাকে। অ্যাস্ট্রা স্পেস রকেট ইঞ্জিন এবং উৎক্ষেপণযান , সেইসাথে তাদের উৎক্ষেপণের জন্য বিমানও তৈরি করে থাকে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, সংস্থাটি তার প্রথম মহাকাশযান ‘রকেট-৩’ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। বর্তমানে, অ্যাস্ট্রা স্পেস নভোযান তৈরি এবং মহাকাশে রকেট পাঠানোর কাজ করছে।
রকেট ল্যাব
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন কোম্পানি রকেট ল্যাব মহাকাশ শিল্পের শীর্ষ ৫ কোম্পানির শেষটি। এটি কক্ষপথে ঘুর্ণায়মান কৃত্তিম উপগ্রহে কার্গো সরবরাহ করার জন্য হালকা উৎতক্ষেপণযান গুলোর নকশা করা এবং উন্নয়ন কাজে বিশেষজ্ঞ। সংস্থাটি নাসার সহযোগি হসেবে কাজ করে। উৎতক্ষেপণ সংখ্যার দিক থেকে SpaceX এর পরেই এটির অবস্থান। রকেট ল্যাবের নিজস্ব বেশ কয়েকটি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র রয়েছে: যেমন নিউজিল্যান্ডে LC-1 এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে LC-2। এই উদ্দেশ্যে, মহাকাশ কর্পোরেশনটি ‘ইলেকট্রন’ নামের একটি অতি হালকা উৎক্ষেপণযান তৈরি করেছে। রকেট ল্যাব দ্বারা বিকাশলাভ করা মূল উদ্ভাবনগুলোর মধ্যে একটি হল ফোটন, যা মুলত মাইক্রোস্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য নকশা করা একটি অন্তঃকক্ষপথের পরিবহন যান। কোম্পানিটি বর্তমানে ‘নিউট্রন’ একটি মাঝারি ওজন বহনকারী দুই স্তরের উৎক্ষেপণযান তৈরি করছে যা কিছুটা ফ্যালকন-৯ এর মতো। এটির প্রথম যাত্রার জন্য ২০২৪ সাল কে নির্ধারণ করা হয়েছে। নিউট্রন রকেটটি চাঁদ, শুক্র এবং মঙ্গল গ্রহে ১.৫ থেকে ৮ টন ওজনের উপগ্রহ এবং কার্গো পাঠাতে সহায়তা করবে। ভবিষ্যতে, এটি মনুষ্যবাহী নভোযানের জন্যও ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক