আরও দেখুন
বিকেলে যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে যেতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.2245 এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ড কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নির্দেশ করে। এরপর মূল্য 1.2305 লেভেলে পৌঁছানোর কয়েক পিপস আগেই এই মুভমেন্ট থেমে যায়।
বিরোধপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে মার্কেটে ক্রমবর্ধমান টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ফলে অনেক ট্রেডার ফেডারেল রিজার্ভের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করেছেন। অপরদিকে, মূল মূল্যস্ফীতি (যেখানে খাদ্য ও জ্বালানি মত অস্থির উপাদান বাদ দেওয়া হয়) হ্রাস পাওয়ায় ট্রেডারদের মধ্যে আরও অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দ্বৈত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা আরও সতর্ক হয়ে উঠেছে। ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের মন্তব্যে স্পষ্ট যে সুদের হারে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই, যা ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে পরিমিত পদ্ধতির গুরুত্বকে জোর দেয়।
আজকের যুক্তরাজ্যের জিডিপি প্রতিবেদন দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করবে এবং এটি পাউন্ডের মূল্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যৎ প্রবণতার বিষয়ে ধারণা পেতে এই প্রতিবেদনের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক হয়, তবে এটি পাউন্ডের মূল্য বাড়াতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ইতিবাচক পরিস্থিতির সংকেত পাবে।
শিল্প উৎপাদনও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক যা প্রধান অর্থনৈতিক খাতগুলোর কার্যক্রমকে প্রতিফলিত করে। এই খাতে প্রবৃদ্ধি আগের অস্থিতিশীলতার পর পুনরুদ্ধার নির্দেশ করে। শিল্প খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন দেশটির অর্থনীতির প্রতি আস্থা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এটি সম্ভবত পাউন্ডকে সমর্থন করবে।
গুডস ট্রেড ব্যালেন্সও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। ইতিবাচক ট্রেড ব্যালেন্স পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালীকরণের ইঙ্গিত দেয়, কারণ এটি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রিটিশ পণ্যের প্রতিযোগিতামূলকতা নির্দেশ করে।
আজকের ট্রেডিং কৌশল হিসেবে আমি পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর বেশি মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2292-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2231-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2292-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। জিডিপি প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2204-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2231 এবং 1.2292-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2204-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2149-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2231-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2204 এবং 1.2149-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।