আরও দেখুন
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে যেতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0320 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ার কেনার জন্য একটি সঠিক মার্কেট এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, পেয়ারটির মূল্য প্রায় ২৫ পিপস বৃদ্ধি পায়, এরপর ইউরোর উপর পুনরায় চাপ সৃষ্টি হয়।
গতকাল প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন মার্কেটে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি করেছে, যা শেষ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ, যেমন ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। দেশটির সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ০.৪% বেড়েছে, যা পূর্বাভাস এবং পূর্ববর্তী ০.৩%-এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। তবে, মূল মুদ্রাস্ফীতি বার্ষিক ভিত্তিতে ৩.২%-এ নেমে এসেছে, যা প্রত্যাশিত ৩.৩%-এর চেয়ে সামান্য কম।
আজ ট্রেডাররা ইউরোজোনের ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের উপর মনোযোগ দেবে, যা কারেন্সি এক্সচেঞ্জ রেট এবং অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। রপ্তানি হ্রাস বা আমদানি বৃদ্ধি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক দুর্বলতার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউরোর মূল্য হ্রাসের দিকে পরিচালিত হতে পারে। এটি ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে, বিশেষত ট্রাম্পের প্রত্যাশিত শুল্ক আরোপের আলোকে।
জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনও আর্থিক নীতিমালা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি পেলে সেটি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে (ECB) সুদের হার হ্রাস করার ব্যাপারে আরও সতর্ক হতে উৎসাহিত করতে পারে। অন্যদিকে, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেলে ভবিষ্যতে ইসিবির পদক্ষেপগুলোর প্রতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, ইসিবির আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী ট্রেডারদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
আজকের ট্রেডিংয়ের জন্য পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0340-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0302-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0340 পয়েন্টে গেলে, আমি লং পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। দিনের প্রথমার্ধে শুধুমাত্র আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলেই ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0280-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0302 এবং 1.0340-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0280এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0245-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র নিচের দিকে যেতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0302-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0280 এবং 1.0245-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।