empty
 
 
16.01.2025 08:54 AM
১৬ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এগুলোর কোনটিই গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনের মতো ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাজ্যে, জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; তবে, যেহেতু জিডিপি প্রতিবেদনটি মাসিক এবং প্রান্তিক ভিত্তিক নয়, তাই এটির ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া সীমিত হতে পারে। উভয় প্রতিবেদন থেকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। জার্মানিতে, ডিসেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভবত মার্কেটে সীমিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। যুক্তরাষ্ট্রে, খুচরা বিক্রয় এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো মাঝারি মাত্রার গুরুত্ব বহন করে, তবে মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্ট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে আজ মার্কেটে স্বল্প মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হতে পারে, তবে শক্তিশালী ও দিকনির্দেশনামূলক মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, কারণ প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কোনো কর্মকর্তাই বক্তৃতা দেবেন না। তবে, গতকালের যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন কিছুটা অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে। নিকট ভবিষ্যতে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিরা ইঙ্গিত দিতে পারেন যে পুর্বের অনুমান অনুযায়ী ২০২৫ সালে ০.২৫% করে দুইবার সুদের হার হ্রাসের তুলনায় আরও কম মাত্রায় মুদ্রানীতি নমনীয়করণের হতে পারে। এর ফলে মার্কিন ডলার পুনরায় শক্তিশালী হতে শুরু করতে পারে।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষভাগে, মার্কেটে মাঝারি মাত্রা ট্রেডিং কার্যক্রমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ আজ কোনো বড় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের শিল্প উৎপাদন এবং জিডিপি ও পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গতকাল মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে বলে আমরা আশা করছি। তবে, আজকের ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো টেকনিক্যাল এনালাইসিসের উপর বেশি নির্ভর করবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.