empty
 
 
10.01.2025 09:34 AM
১০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার স্থানীয় কোনো অনুঘটক ছাড়াই GBP/USD পেয়ারের মূল্য়ের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। গতকাল যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা ইভেন্ট ছিল না যা ব্রিটিশ কারেন্সির আরও দরপতনের কারণ হতে পারে, এবং বুধবারও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ফলে, এই সপ্তাহে পাউন্ডের দরপতন শুধুমাত্র মূল প্রবণতার পরে প্রযুক্তিগত কারণ দ্বারা চালিত বলে মনে হচ্ছে। বৃহত্তর বৈশ্বিক কারণগুলো বিবেচনা করলে, সেগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে। আমরা প্রায়শই উল্লেখ করেছি যে পাউন্ড অতিমূল্যায়িত এবং অন্যায্যভাবে ব্যয়বহুল রয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা গত দুই বছর ধরে শুধুমাত্র ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতির শিথিলতার প্রত্যাশা করছিল, অথচ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা যুক্তরাজ্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী।

ফলে, পাউন্ডের দরপতনের অনেক কারণ রয়েছে, এবং এই কারণগুলোর প্রভাব অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পাউন্ডের দরপতন হচ্ছে, সাম্প্রতিক কোনো অনুঘটক না থাকলেও—প্রকৃতপক্ষে, দীর্ঘমেয়াদী অনুঘটকগুলো এই পেয়ারের উপর প্রভাব বিস্তার করছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। দিনের শুরুতে, এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য 1.2310 লেভেলের নিচে স্থিতিশীল হয় এবং পরে 1.2235 পর্যন্ত নেমে যায়। এই মুভমেন্টটিই নতুন ট্রেডারদের জন্য বেশ ভালো পরিমাণে লাভ করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারত। এর পরে, 1.2235 এবং 1.2270 লেভেল থেকে রিবাউন্ডের মাধ্যমে বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা থেকেও লাভ করা সম্ভব ছিল। মুভমেন্টটি 1.2310 লেভেলের কাছে শেষ হয়, যেখানে মুনাফার সাথে লং পজিশন ক্লোজ করা যেত।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য নতুন বছরের ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে এসে মূল নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হয়েছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল। তাই, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি; তবে, সর্বদা ট্রেডে এন্ট্রির জন্য টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করুন।

শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে, যেখানে মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করবে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলো প্রাসঙ্গিক: 1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, এবং 1.2980–1.2993। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই; তবে, যুক্তরাষ্ট্রে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ফলে, মার্কিন সেশনের সময় এই পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা শক্তিশালী এবং অপ্রত্যাশিত হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.