empty
 
 
04.11.2024 08:44 AM
৪ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবারে, GBP/USD পেয়ার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেড করেছিল, যা যৌক্তিক ছিল, তবে দিনের শেষে এই পেয়ারের মূল্য কমে গিয়েছিল। ইউরোর মূল্যের একটি স্পষ্ট কারেকশন দেখা গিয়েছে, কিন্তু পাউন্ডের মূল্যের স্পষ্ট নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারে এই পেয়ারের মূল্য সর্বশেষ স্থানীয় নিম্ন লেভেল ব্রেক করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ননফার্ম পেরোল এবং ISM থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল, তবে ডলারের উল্লেখযোগ্যভাবে দরপতন হয়নি। আমরা পূর্বেই সতর্ক করেছিলাম যে মাঝারি মেয়াদে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ এর বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার সকল কারণ ইতোমধ্যেই মূল্যায়িত হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা বুঝতে পেরেছে যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড দীর্ঘ সময় ধরে সুদের হার হ্রাসে পিছিয়ে থাকবে না এবং তার মূল সুদের হার কমাবে। যেহেতু তারা এখন পর্যন্ত একবারই সুদের হার হ্রাস করেছে, তাই তারা সম্ভবত ফেডারেল রিজার্ভ বা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ে আরও আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার কমাবে। সুতরাং, আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবারে 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, মূল্য 1.2913 লেভেল ব্রেক করতে সংগ্রাম করেছিল, তবে মার্কিন শ্রম বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের 10 মিনিট আগে কোন ট্রেডে এন্ট্রি করা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। পরে, মূল্য 1.2980 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল, যা থেকে ট্রেডিংয়ের জন্য চেষ্টা করা যেতে পারত। দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2913 এর লেভেলে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছিল।

সোমবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, এক মাসের দরপতনের পরে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু করার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তবে এটি সফল হয়নি। আমরা মাঝারি মেয়াদে সম্পূর্ণরূপে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। শিগগিরই, পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি কারেকশনের প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে, তবে এর জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। গত সপ্তাহে দেখা গেছে যে পাউন্ডের জন্য এই ধরনের সীমিত সমর্থন রয়েছে, এবং এমনকি যখন সমর্থন ছিল, পাউন্ডের মূল্য বাড়তে সংগ্রাম করেছে।

সোমবারে, নতুন ট্রেডাররা 1.2913 লেভেল থেকে ট্রেড করতে পারে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, এবং 1.3365 লেভেলের আশেপাশে ট্রেডিং করা যেতে পারে। সোমবারে যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই আমরা সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট সহ নিস্তেজ ট্রেডিংয়ের প্রত্যাশা করতে পারি।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.