আরও দেখুন
মঙ্গলবার, পুরোপুরিভাবে EUR/USD পেয়ারের সাইডওয়েজ ট্রেডিং দেখা গেছে। সারাদিনের মুভমেন্টের সাথে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কার্যত কোন সম্পর্ক ছিল না এবং এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রাও কম ছিল। সকালে ZEW থেকে প্রকাশিত জার্মানি এবং ইউরোজোনের ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হয়েছিল যেগুলোর ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে কয়েকগুণ নিম্নমুখী ছিল। যাইহোক, এটি ইউরোকে প্রভাবিত করেনি, কারণ এটির মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশের পর, ডলারের মূল্য মাত্র 20 পিপস বৃদ্ধি পায়। আমরা সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে মঙ্গলবারে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রভাবে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছে, এবং এর মধ্যে তারা শুধুমাত্র মার্কিন ডলার বিক্রি করতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে। ফেড সুদের হার কতটা কমবে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তাই সন্ধ্যায় মার্কেটে যেকোন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে 5 মিনিটের টাইমফ্রেমের মধ্যে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। যাইহোক, সারাদিন ধরে এই পেয়ারের সাইডওয়েজ ট্রেডিং হয়েছে, এবং 1.1132 লেভেলের কাছাকাছি এই সিগন্যাল কাজে লাগানো যেতে পারত। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময়, মার্কিন ইতিবাচক প্রতিবেদনের প্রভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের সুযোগ ছিল, কিন্তু তা ঘটেনি। এই পেয়ারের সামান্য দরপতন হয়েছে।
এক ঘন্টায় টাইম ফ্রেমে, দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠন করার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু সেই সম্ভাবনা দ্রুত ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, শীঘ্রই মাঝারি মেয়াদে আবার অযৌক্তিকভাবে ডলার বিক্রি করা শুরু হতে পারে, কেননা কেউ জানে না যে মার্কেটে কতদিন ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের প্রভাব অব্যাহত থাকবে। মূলত ইসিবির আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ উপেক্ষা করে মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের প্রায় সকল ভবিষ্যত সুদের হার হ্রাসের ভিত্তিতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করছে।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1132 লেভেলের কাছাকাছি সম্ভাব্য ট্রেডিংয়ের সুযোগ খুঁজে পেতে পারেন। এখান থেকে বাউন্স ঘটলে এই পেয়ার বিক্রির সুযোগ পাওয়া যাবে যখন এই লেভেল ব্রেক করা হলে সেটি এই পেয়ার কেনার সুযোগ দেবে। যাইহোক, ফেডের সভার ফলাফল ঘোষণা করার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।
5M টাইম ফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132, 1.1191, 1.1275-1.1292। বুধবার ইউরোজোনে আগস্টের ভোক্তা মূল্য সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে। আমরা এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়ার আশা করছি না, কারণ ইইউতে মুদ্রাস্ফীতির পতনের হার এখন খুব একটা প্রাসঙ্গিক নয়—ইসিবি ইতিমধ্যে দুইবার সুদের হার কমিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, নতুন বাড়ি বিক্রয় এবং বিল্ডিং পারমিট সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে যা তুলনামূলকভাবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যাইহোক, এ সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ফেডের বৈঠক রাতে অনুষ্ঠিত হবে।
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।